স্বাধীণতা যুদ্ধে বেমরতা |
সংগ্রাম কমিটি: ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষনের প্রতিক্রিয়ায় বাগেরহাটে ৯ই মার্চ মঙ্গলবার বিকালে গঠিত সংগ্রাম কমিটি। যে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন এ্যাডভোকেট শেখ আব্দুর রহমান। এই সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন বৈটপুর গ্রামের এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাহাজাহান আলী। প্রতিরোধ দিবসের কর্মসূচী ২৩শে মার্চ বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দৌলতপুর বিএল কলেজের অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক যিনি পরবর্তীতে বৈটপুর গ্রামে সাহিত্যিক আবুবকর সিদ্দিকীর বাড়িতে কিছুদিন থাকেন। খুলনা সেন্ট্রাল রোডের উপর পাকবাহিনীর গুলিতে নিহত তিন ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখার পর হাসান আজিজুল হক এবং তার বোন জাহানারা বেগম বাগেরহাটের বৈটপুরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ঐ অনুষ্ঠানে আবুবকর সিদ্দিকীর “বিপ্লবের দুর্গ মাটি বাংলা” শীর্ষক গীতিনকশা পরিবেশন করা হয়। একাঙ্কিকাটিতে মোট নয়টি চরিত্র ছিলো: গ্রাম্য কৃষক, মসজিদের ইমাম, পুলিশ ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল, নায়ক অহীন, সুলতানা, রাজনৈতিক গুরু, পাকিস্থানী লেফটেন্যান্ট এবং শ্রমিক। প্রতিরোধ দিবসে বৈটপুর গ্রামের পিসি কলেজের অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষক আবুবকর সিদ্দিক মিছিলের অগ্রভাগে একটি কালো পতাকা বহন করেছিলেন। বৈটপুর ক্যাম্প এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখের দিকে নাগেরবাড়ি ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধারা বৈটপুর গ্রামের একটি পাঠশালা ঘরে গিয়ে অবস্থান করেন। এখানে কয়েকদিন থাকার পর বৈটপুর তাদের থাকা নিরাপদ নয় একারনে গোয়ালমাঠ হাইস্কুলে ক্যাম্প স্থানাস্তর করে। এই ক্যাম্পটি তেলিগাতী গ্রামের আবদুস সত্তার খানের পৃষ্ঠপোষকতায় নেতৃত্বে ছিলেন কমান্ডার সোহরাব হোসেন হাওলাদার। সৈয়দ অজিয়র রহমান পাকবাহিনী বাগেরহাট আসার ফলে স্বাধীণতাবিরোধী শক্তি নতুনভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পায়। ২৪ এপ্রিলের পর থেকে মূলত বাগেরহাট শহরে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রন ওঠে যায়। আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান ভারতে চলে যাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি মূলত: সৈয়দ অজিয়নের নেতৃত্বে সংগঠিত হতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি এ তথ্য জানায় তারা সৈয়দ অজিয়র রহমানকে ধরার প্রচেষ্টায় থাকে। বাগেরহাটের তৎকালীন সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক বৈটপুর ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীর প্রধান কামরুজ্জামান টুকুও আশ্রয় নেন। ২৮ এপ্রিল বুধবার বাগেরহাটের হাটবার। তিনি সহকর্মী আত্মীয় স্বজনদের সাবধান করার জন্য বাগেরহাটে যান। রফিকুল ইসলাম খোকনের প্রবল নিষেধ স্বত্বেও তিনি বাগেরহাটে যান। বেলা ১১ দিকে বাগেরহাট ডাকবাংলোর সামনে অবস্থিত আজাদ রেষ্টুরেন্ট থেকে তাকে পাকবাহিনী এ্যারেষ্ট করে। সুলতানপুর যুদ্ধ মে মাসের শেষ দিকে রফিকুল ইসলাম তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিয়ে সুলতানপুর এলাকায় অবস্থান করার সময় বাগেরহাটের রাজাকার বাহিনীর সঙ্গে একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। রফিকুল ইসলামের অনুসারী ডা: কৃষ্ণপদ ব্যানার্জী, কান্ত ভট্রাচার্য, কমলেশ দাস প্রমুখের নেতৃত্বে প্রায় ২০-২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সুলতানপুর এলাকায় সংঘটিত হয়। যুবায়ের নোমা, তাজুল ইসলাম, শঙ্কর বিশ্বাস সহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কয়েকজনের সাথে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে রফিকুল ইসলাম তার সঙ্গীদের নিয়ে খাসবাটি গ্রামের শঙ্কর দাসের বাড়িতে রাত কাটান। ‘তোলা’ নামের এক মহিলার চিৎসারে ঘুম ভাঙে রফিকুল ইসলামের দেখতে পান সুলতানপুরের কাজী মতিয়ুর রহমান মোহরার এবং মোস্তাফিজুর রহমান মাষ্টার উঠানের উপর দাড়িয়ে আছে এবং রাজাকার বাহিনী রাস্তা থেকে বাড়ির ভিতরে ঢুকছে। এ সময় একজন মুক্তিযোদ্ধার রাইফেল থেকে অসর্তকতাবশত একটি গুলি বের হয়ে যায়। আচমকা গুলির শব্দে রাজাকার বাহিনী পজিশন নিতে শুরু করে এই সুযোগে রফিকুল ইসলাম তার বাহিনী নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসেন। এ সময়ে বেশ কিছুটা দুরে রাস্তার উপরে পজিশন নে তাজুল ইসলাম, যুবায়ের নোমা, শঙ্কর বিশ্বাস প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা। এদের দিকে রফিকুল ইসলাম গুলি করতে থাকেন এর ফলে রাজাকার বাহিনী ভুল বুঝে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান নির্ধারন করতে পারেন। সুযোগকরে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ জায়গায় চলে যান। বেশ কয়েকঘন্টা রাজাকার বাহিনী এলেমেলো গুলি চালিয়ে বাগেরহাটের দিকে যায়। তবে যাবার পথে বানিয়াগাতী, সুলতানপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে। নারীনির্যাতন মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীর ওপর নানা ধরনের দৈহিক মানসিক অত্যাচার-নির্যাতন ছিলো পাকবাহিনীর বর্বরতার বহি:প্রকাশ। রাধাবল্লভ গ্রামে তিন কুখ্যাত রাজাকার মঞ্জুরানী অধিকারী প্রকাশ্য দিবালোকে অত্যাচার করার পর হ্ত্যা করেছিলো ধর্মান্তরণ ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সময়ে অমুলমানদের উপর পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা যতো ধরনের মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে, তার মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ধর্মান্তরণ।বাগেরহাট জেলার যেসব এলাকায় জোর করে ধর্মান্তরণ করা হয়েছিল তার মধ্যে বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর, রাধাবল্লভ উল্ল্যেখযোগ্য। যেখানে জীবন বাচানর জন্য ধর্মারণ হয়েছেন সেই ধর্মান্তরণ হয়েও জীবন বাচান সম্ভব হয়নি। বাগেরহাট থানার বৈটপুর গ্রামের গুহ পরিবার উল্লেখযোগ্য। কবি আবুবকর সিদ্দিক তার স্মৃতিকথায় উল্ল্যেখ করেছেন। হরিশবাবুর বিল্ডিংয়ের সামনে এসে দাঁড়াতে ইলেকট্রিক ছ্যাঁকা খেতে হয় আমাকে। আড়গড়ার বাইরে আমি আর গোড়া দাড়িয়েঁ। আমাদের দেখতে পেয়ে বারান্দা থেকে নেমে আসেন তিনি। শাদা ধুতি লুঙ্গির মতো করে পরা। মাঝখানের খুট আঙুল দিয়ে তুলে ধরা। জানালেন, মাত্র কদিন আগে তিনি, তার ছোটভাই গৌর ছেলে নীলু সবাই খৎনা করিয়ে নয়ামুসলিম হয়েছেন। চিন্তার কারণ নেই। অল্প দিনের মধ্যে শুকিয়ে যাবে। খতনার দাগ শুকানোর আগেই রাজাকার বাহিনী হরিশ গুহদের সপরিবারে হত্যা করে। ধর্মান্তরেন বিষয়ে কবি আবুবকর সিদ্দিকীর স্মৃতিকথায় গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ পাওয়া যায়। মে মাসের ১০ তারিখ পাকবাহিনী বিখ্যাত ফগ ডাক্তারকে হত্যা করে। ফগ ডাক্তারের মেঝো ছেলে গোরাচাঁদ আবুবকর সিদ্দিকীর নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরদিন সকালে মেঝবোন জানুর হাতে ঘুষো চিংড়ীভর্তা দিয়ে পানির জাউ নাস্তা খেয়ে গোরাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। ওর শার্টের বুকপকেটে টুপীটা গুজেঁ দিয়ে বলি, “মোসলমান হওয়ার পর মধ্যি ফু দিয়ে ফুলোয়ে মাথায় দিবি।“ গোরাকে বলি, “ভাইডি! তুই একা চলে যা পার’য়ে। ঠিক ওপারেই হুজুরের বাড়ি। শর্সিনার পীরসাহেবের জামাই। বাড়ি চিনতি অসুবিধা হবেনানে। তেনার পাগড়ি ছুয়ে কালেমা পড়বি। তোর এ্যাট্টা মোসলমান নাম দেবানে। তুই বিসমিল্লা কয়ে টুপী মাথায় দিনি। তারপর খবদ্দার ডানি-বায়ে কোন দিক চাবি না। সোজা খেয়া পার’য়ে আমাকে বাড়ি চলে আসবি। কিন্তু দু:খজনক ঘটনা হলো, এভাবে মুসলমানা বানানোর কয়েকদিন পর দৈবজ্ঞহাটির রাজাকাররা গোরাচাঁদকে গুলি করে হত্যা করে। ধর্মান্তরণ থেকে প্রত্যাবর্তন অসাধ্য ছিলো। হরিশগুহের মেয়ে দিপালী পিতার সাথে ধর্মান্তরিত হন তার নাম হয় তহমিনা বেগম। তিনি ছিলেন তৎকালীন বাগেরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান শিবপদ বসুর স্ত্রী। এ সময়ে তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বাগেরহাটে কর্মরত এক মুসলমান অফিসারের সঙ্গে তার প্রণয় জন্মে এবং পরবর্তীতে বিবাহ হয় এই বিবাহ দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। গণহত্যা ৯ অক্টোব শনিবার ২২শে আশ্বিন গভীর রাতে (খ্রিষ্টীয় হিসেবে ১০ই অক্টোবর) বাগেরহাট রাজাকার বাহিনীর অর্ধশতাধিক সদস্য সিরাজ মাষ্টারের নেতৃত্বে বৈটপুর হিন্দুপাড়া আক্রমন চালায়। এই গ্রামের হরিশ গুহ ওরফে কালু গুহ ছিলেন খুবই প্রভাব-প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি। তবে যুদ্ধের সময়ে আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে বাগেরহাট বাসাবাড়ির মওলানা সাহেবের নিকট গিয়ে আপন জ্ঞাতি গোষ্ঠীসহ কালেমা পড়ে মুসলমান হয়েছিলেন। রাজাকার বাহিনীর একটি গ্রুপ এই নওমুসলিমদের প্রতি মোটেই খুশি ছিলো না। কেননা হিন্দুরা দেশ ছেড়ে চলে গেলেই তাদের সবচেয়ে বেশি লাভ হতো-তাদের জায়গা-জমি, সহায় সম্পত্তি সহজে দখল করা যেতো। কিন্তু হিন্দুরা মুসলমান হয়ে গেলে সেই সুযোগের পথ চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। অগত্যা সিরাজ মাষ্টারসহ কয়েকজন রাজাকার ঐ নওমুসলিমদের দুনিয়া থেকেই বিদায় করে দেওয়া কথা ভাবতে শুরু করে। রাত প্রায় তিনটার দিকে রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা হরিশ গুহের বাড়িটা চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে হরিশ গুহ ও তার পুত্র প্রদীপ গুহ ওরফে নীলু গুহকে ডাকাডাকি করতে থাকে। প্রদীপ গুহ সিরাজ মাষ্টারকে দেখে বাড়ির ছাদের উপরে উঠে একটা গাছ বেয়ে নেমে যখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন রাজাকার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে যান। কিছুক্ষনের মধ্যেই রাজাকার বাহিনী দরজা ভেঙে বাড়ির মধ্যে ঢুকে হরিশ গুহ এবং তার ছোট ভাই গৌরপদ গুহকে ধরে বাইরে নিয়ে আসে। রাজাকাররা একইভাবে পাশের বাড়ির থেকে বোবা একটি কাজের লোকসহ সুশীল মজুমদারকেও ধরে আনে। এরপর একদল নওমুসলিমদের জবাই করার কাজে ব্যস্ত হয় এবং অন্যদল লুটপাটে মনোনিবেশ করে। কবি আবুবকর সিদ্দিক এই হত্যাকান্ডের পরেরদিন সকাল বেলায় হরিশ গুহের বাড়ি যান। সেই বর্ণনা তার লেখায়- প্রথম স্পটে গৌরদা অর্থাৎ হরিশ গুহর ছোটো ভাই শুয়ে আছেন রাস্তার উপর আড়াআড়ি। গলা কটা। দু’ফাক। চোখ শাদা ফ্যাকাশে। তার কোমরের কাছে পড়ে আছে হরিশ গুহর যুবক পুত্র নীলুর গলাকাটা লাশ।কিছু দূর গিয়ে গদা মালোর বাড়ির পিছনে রাস্তা জুড়ে সুশীল মজুমদার ও তার বাড়ির বোবা কাজের ছেলেটা যার সঙ্গে আমি প্রায়ই ক্যারাম খেলতাম গ্রামে এলে। দুজনেরই গলা কাটা। সবচেয়ে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছিলো আরো কয়েকশো গজ এগিয়ে মিত্তিরদের বাড়ির সামনেকার খোয়াওঠা রাস্তায়। হরিশ গুহর লাশ চিত হয়ে পড়ে আছে। তার চিবুকের নিচ দিয়ে মোলায়েম করে কেটে দুফাক করা। রক্ত ঝরে ঝরে কাটা মাংস রবারের মত ফ্যাকাশে। শাদা মনি বের করা চোখ। গলাও ফাক হয়ে আছে। কিন্তু মাথার খুলির উপরের চাড়া নেই। তচনচ ঘিলু। কিছুটা হলুদ ঘিয়েরঙা ঘিলু পাশের কচুপাতার সবুজ চাতালে। আর বেশ কিছুটা দূরে খুলির চাড়াটা চুলসুদ্ধ ছিটকে পড়ে আছে লাল খোয়ার উপর। মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযুদ্ধে বাগেরহাট জেলার নারীসমাজের অংশগ্রহণ ত্রিবিধ। সরাসরি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা, পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত ও যুদ্ধাহত হওয়া, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা। বেমরতা ইউনিয়নে এরকম কয়েকজন- মঞ্জু রানী অধিকারী, রাধাবল্লভ- মনোয়ারা বেগম, চরগ্রাম- বেমরতা ইউনিয়নের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নংনামপিতার নামগ্রামযুদ্ধক্ষেত্র১বিজয়কৃষ্ণ পালভোলানাথ পালফতেপুরপশ্চিমভাগাবেমরতা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্রঃ নংনামপিতা/স্বামীর নামগ্রামমুক্তি বার্তা নম্বর২১একরাম আলী শেখ (আনসার)মৃত হাসেম আলী শেখবৈটপুর০৪০৩০১০৩৫২২২মোঃ আঃ ছামাদ মিঞা (পুলিশ)মৃত ময়েন উদ্দিন মিঞাভদ্রপাড়া০৪০৩০১০৩৬২২৩মৃত শহীদ আবুল ফজল শেখ (সেনাবাহিনী)মৃত ফয়েজ শেখচিতলী০৪০৩০১০৩৬৩২৪মৃত শহীদ জোনাব আলী (ইপিআর)মৃত শেখ ইমান উদ্দিনঅজুর্নবহর০৪০৩০১০৩৬৪২৫শংকর কুমার দাসআনন্দ লাল দাসখাসবাটী০৪০৩০১০৩৩৮২৬হাবিবুর রহমান মোল্লাখোরশেদ আলী মোল্লাকোন্ডলা০৪০৩০১০৩৯০২৭মৃত কমলেশ চন্দ্র দাসহেমলাল দাসসুলতানপুর০৪০৩০১০৩৯১২৮মৃত বাবুর আলী ডাকুয়ামৃত বছির উদ্দিন ডাকুয়াসুলতানপুর০৪০৩০১০৩৯২২৯মৃত হাওলাদার মোজাম্মেলরফিজ উদ্দিন হাওলাদারকোন্ডলা০৪০৩০১০৩৯৩৩০মৃত তৈয়াবুর রহমান খাঁনমৃত হাবিবুর রহমান খাঁনফতেপুর০৪০৩০১০৩৯৪৩১মোঃ মুনছুর সেখমৃত খোরশেদ আলী সেখচরগ্রাম০৪০৩০১০৩৯৮৩২আঃ মজিদ মিনামৃত বছির উদ্দিন মিনারঘুনাথপুর০৪০৩০১০৩৯৯৩৩তপন কুমার দেবমৃত শ্রীশ চন্দ্র দেবকোন্ডলা০৪০৩০১০৪০২৩৪মৃত আঃ কাদের মোল্লামৃত অজ্ঞাতবৈটপুর০৪০৩০১০৪৯৮৩৫মৃতশহীদ সেখ মোঃ আঃ জব্বারমৃত আঃ করিম সেখসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৩৭৩৬মৃত শহীদ বিজয় কৃষ্ণ পালমৃত ভোলানাথ পালফতেপুর০৪০৩০১০৫৩৯৩৭মোঃ হানিফ মোল্লামৃত মোঃ ছবেদ আলী মোল্লাকোন্ডলা০৪০৩০১০৫৪০৩৮আফজাল হোসেনমৃত ছুটে সরদারসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৪৩৩৯মোঃ সিদ্দিকুর রহমানমৃত ইউছুফ খানকোন্ডলা০৪০৩০১০৫৪৪৪০মৃত হাওলাদার আলাউদ্দিনহাওলাদার আজিমুদ্দিন আহমেদবৈটপুর০৪০৩০১০৫৪৫৪১আব্দুল মন্নান সেখআব্দুর রাজ্জাক সেখরঘুনাথপুর০৪০৩০১০৫৪৬৪২মোঃ মোজাহের ডাকুয়ামোঃ বারেক ডাকুয়াসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৪৭৪৩নূর মোহাম্মদ সেখমৃত মোজাহের সেখসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৪৮৪৪মৃত আবেদ আলী সেখমৃত মবিন উদ্দিন সেখসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৪৯৪৫মৃত মঈন উদ্দিন সরদারমৃত তৈয়াব আলী সরদারছোট রঘুনাথপুর০৪০৩০১০৫৫০৪৬রতন আলী মোল্লামৃত আমিন উদ্দিন মোল্লাবিজয়পুর০৪০৩০১০৫৫১৪৭আঃ কুদ্দুছ সেখমৃত মোজাহের সেখসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৫২৪৮শেখ আঃ জলিলমৃত করিম উদ্দিন শেখবৈটপুর০৪০৩০১০৫৫৩৪৯মোঃ খালেক ডাকুয়ামৃত মোঃ নেছার উদ্দিন ডাকুয়াসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৫৪৫০মোঃ আঃ জব্বার খানমৃত আলহাজ্ব ঈমান উদ্দিন খানকোন্ডলা০৪০৩০১০৫৬৯৫১মাহবুব রহমান খানখান তৈয়বুর রহমানফতেপুর০৪০৩০১০৫৭০৫২মৃত খাঁন সফিউদ্দিনমৃত খান তোরফান উদ্দিনসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৭৩৫৩মোঃ আবু তালেব শেখমৃত কহিল উদ্দিন শেখসুলতানপুর০৪০৩০১০৫৭৪৫৪মোঃ আব্দুস সাত্তার খানমৃত আলহাজ্ব ইমাম উদ্দিন খানকোন্ডলা০৪০৩০১০৫৭৫৫৫কাজী মাহফুজুর রহমানমৃত কাজী মোজাম্মেল হকফতেপুর০৪০৩০১০৫৮৪৫৬হাবিবুর রহমান সরদারমৃত জামাল সরদাররঘুনাথপুর০৪০৩০১০৫৯২৫৭মোঃ আক্কাছ আলীমৃত মোঃ মোন্তাজ উদ্দিনচরগ্রাম০৪০৩০১০৫৯৪৫৮মেজর মোস্তফা হেললামৃত শেখ আহম্মদ আলীপদ্মনগর০৪০৩০১০৫৯৮৫৯মৃত মোঃ আক্তার হোসেন (বিডিআর)মৃত মোবারক হোসেনঅর্জুনবহর০৪০৩০১০৬১২৬০এফ,এম,এ রশিদ (বিডিআর)ডাঃ আপ্তাব উদ্দিন আহম্মদচরগ্রাম০৪০৩০১০৬১৩৬১মৃত ফতে আলী শেখমৃত শেখ আঃ আজিজফতেপুর০৪০৩০১০৬১৯৬২এম এ আজিজখোরশেদ আলী মোল্লাকোন্ডলা০৪০৩০১০৬৪৯৬৩আবু সাউদ মিনামৃত হাজী আফছার উদ্দিনফতেপুর০৪০৩০১০৬৬৭৬৪মিয়া শাহজাহানফজলুল হক মানাফতেপুর০৪০৩০১০৬৬৮৬৫আঃ কাদের খানমৃত আলহাজ্ব ঈমান উদ্দিনকোন্ডলা০৪০৩০১০৩৮৯৬৬মোঃ সাহাব উদ্দিন শেখমৃত মোঃ শফিউদ্দিন শেখকোন্ডলা০৪০৩০১০৬৭মোঃ সেকেন্দার আলী শেখমৃত শফীউদ্দীনকোন্ডলা০৪০৩০১০৬৮আলী মিয়া শেখমৃত শেখ আঃ রহমানরঘুনাথপুর০৪০৩০১০৬৯মৃত মোজাম হাওলাদারমৃত রফিজদ্দিকোন্ডলা ৭০মৃত খান সফিউদ্দিনমৃত তোরফান উদ্দিনসুলতানপুর ৭১মৃত মঈন সরদারমৃত তৈয়াব আলীরঘুনাথপুর ৭২মৃত আঃ খালেক ডাকুয়ামৃত নেছার উদ্দিনসুলতানপুর ৭৩হাসেম আলী শেখখোরাজদ্দিন শেখছোট বিষ্ণুপুর ৭৪লুতফর রহমান খানমৃত ইছুপ আলীকোন্ডলা ৭৫মৃত মোঃ আলতাব শেখমৃত মমিন উদ্দিনবিষ্ণুপুর ৭৬রমেশ চন্দ্র মজুমদারমৃত বসন্ত মজুমদারখাড়াসম্বল ৭৭মৃত আইয়ুব আলী শেখমেছের আলী শেখদত্তকাঠী |